সুন্দরবনের মাঝখান দিয়ে যানবাহন চলার অনুমতি দিয়ে বেশ কবার তেলের ট্যাঙ্কার ডুবানোর সুযোগ করে দিয়েছেন মাননীয়া।

আড়িয়াল বিল ভরাট করে মুজিবের নামে দশাসই একটা এয়ারপোর্ট বানানোর খায়েশ হয়েছিল মাননীয়ার। তখনো তো এখনকার মতন ঔদ্ধত্য দেখানোর সাহস পায়নি, স্থানীয় মানুষের প্রটেস্টে সে প্রজেক্ট থেকে সরে আসে আর খালেদা জিয়ার নামে একটা মামলা দিয়ে ব্যাপারটার মধ্যে নিজের ইগো জাহিরপূর্বক সরে আসে। তারপর এলো রামপাল প্রকল্প, শত সমালোচনা সত্ত্বেও সুন্দরবনের কোল ঘেষে ভারতের সাথে জয়েন্ট ভেঞ্চারে কয়লাভিত্তিক পাওয়ার প্ল্যান্ট করতে সে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সুন্দরবনের মাঝখান দিয়ে যানবাহন চলার অনুমতি দিয়ে বেশ কবার তেলের ট্যাঙ্কার ডুবানোর সুযোগ করে দিয়েছেন মাননীয়া। আর হাওরে অঞ্চলে এক জোকারের আহ্লাদ-আবদার মেটানোর জন্য সহস্র বছরের ইকোসিস্টেম ধ্বংস করে মিঠামইন নামক সড়ক পয়দা করেছেন এই মাননীয়া। গত ক’বছরে প্রকৃতির বারোটা বাজানোর বেশ ক’টা বড়সড় ঘটনার আঞ্জাম আমাদের মাননীয়া নিজের হাতে করেছেন।
অন্যদিকে ফারাক্কার প্রথম চলন হয়েছিল তার বাপের আমলে, এখন নদীর পানি দেয়ার তোরজোড়, চলছে আরো কয়েকটা ড্যামের তোরজোড়, বাধা দেয়ার সাধারণ ক্ষমতাটুকুও এই সরকারের নেই। ক্ষমতার লোভ আর স্বভাবসুলভ ঐতিহাসিক দলীয় নতজানু প্রবণতায় ভারতের পায়ের কাছে লেপ্টে থাকার বাইরে আপাতত অন্য কিছু করার ভাবনা মাননীয়ার নেই। দেশ গোল্লায় যাক, মানুষ উচ্ছন্নে যাক, প্রকৃতির বারোটা বাজুক, গদি ধরে রাখতে দাসখত লিখবো, আর দেশে বসে গোয়ারের মতন হুমকি-ধামকি দিয়ে বেড়াবো!
প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশের উপর এমন নিষ্ঠুর অত্যাচার করবে, আর প্রকৃতি তার প্রতিশোধ নেবে না, এইটে হয় কিভাবে? কিন্তু আফসোস হচ্ছে, এই প্রতিশোধে জালিমের কিছু হয় না, প্রতিশোধের থাবা নেমে আসে নিতান্তই সাধারণ মানুষগুলোর উপরে। ওই প্রতিশোধ যদি গণভবন কিংবা বঙ্গভবনে নেমে আসতো, তাহলে হয়তো কিছুটা শোধবোধ হতো।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *